What is Dehydration? Symptoms-Effects and Preventions
ডিহাইড্রেশন মানে কি?
যখন আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় জলীয় পদার্থের পরিমাণ কম হয়, কোন ধরনের রোগের কারণে বা কম পরিমাণে জল পান করার জন্য, তখনই দেহাইড্রেশন এর সমস্যা দেখা দেয়। ফলে আমাদের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে জলীয় পদার্থ না থাকায় অন্যান্য ফ্লুইড গুলো শরীরে যথার্থভাবে কাজ করিতে পারেনা।
সেই অবস্থায় যদি শরীরের প্রয়োজনীয় জলীয় পদার্থের পরিমাণ বর্ধিত করা না হয় তখন তাকে ডিহাইড্রেশনের অসুবিধাগুলো শুরু হয়।
যেকোনো বয়সের মানুষ ডিহাইড্রেশনের সমস্যা সম্মুখীন হতে পারে কিন্তু বিশেষ করে কম বয়সী বাচ্চা এবং বয়স্ক লোকের ডিহাইড্রেশন হলে সেটা কিন্তু অনেক জটিল হতে পারে।
সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে একটি কমন লক্ষণ দেখা যায় যখন ডিহাইড্রেশন এর প্রভাব হয় যে তারা খুব ঘন ঘন বমি করে এবং অনেক ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে ।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সাধারণ তো ওদের শরীরে জলীয় পদার্থের পরিমাণ কম থাকে বা কোন সময় দেখা যায় কোন ঔষধ প্রয়োগ করার ফলেও প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে জলীয় পদার্থের অভাব বা ডিহাইড্রেশন দেখা দে।
তাই দেখা যায় ছোট খাটো অসুস্থতার যেমন ফুসফুস বা মূত্রথলি ইনফেকশন প্রাপ্তবয়স্কদের কে ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ফেলে দিতে পারে ।
তাছাড়াও ডিহাইড্রেশন সমস্যা যেকোনো বয়সের লোকের মধ্যে হতে পারে যখন শরীরে জলীয় পদার্থের পরিমাণ কম হয়। বিশেষ করে গরমের দিনে জল পান কম করা এবং অধিক পরিশ্রম করার ।
ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচার উপায় কি?
সাধারণত দেখা যায় যদি দেহাইড্রেশন এর পরিমাণ কম হয় অল্প মাত্রায় ডিহাইড্রেশন হলে বেশি করে জল পান করলে বা তরল পদার্থ জুস ইত্যাদি সেবন করলে অনেক সময়ে ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা অনেকটা কমে যায়। কিন্তু জটিলভাবে ডিহাইড্রেশন হলে কিন্তু মেডিসিন না নেওয়া পর্যন্ত আপনার সমস্যার সমাধান কখনো হবে না।
ডিহাইড্রেশনের লক্ষণসমূহ:
সাধারণত দেখা যায় যে তৃষ্ণার্ততা যথেষ্ট রিলায়েবল লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় না প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে। কারণ প্রাপ্তবয়স্করা অনেক বেশি পরিমাণে ডিহাইড্রেটেড হওয়ার পরেও তৃষ্ণা বোধ করে না।
তাই এটা অনেক প্রয়োজনীয় যে আপনি গরমকালে জলের পরিমাণ বেশি নিতে হবে এবং যখন আপনি অসুস্থ থাকবেন তখন কিন্তু অনেক বেশি পরিমাণে জল পান করতে হবে।
বয়সের তারতম্যতার উপর ও অনেক সময় দেখা যায় ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলো পৃথক পৃথকভাবে দেখা দেয়।
শিশু এবং বাচ্চাদের মধ্যে কি কি লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
১. জিব্বা এবং ঠোঁট শুকনো থাকবে।
২. অশ্রু আসবে না অনেক সময় কান্নার পরে অশ্রু আসবেনা।
৩. ড্রাইভারগুলো দু-তিন ঘণ্টা শুকনো থাকবে।
৩. ফেকাশে চক্ষু এবং গাল গুলো একটু সাদা সাদা হয়ে যাওয়া।
৪. অস্থিরতা এবং যন্ত্রণাবোধ করা।
বড়দের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ কি হতে পারে?
১. যথেষ্ট পিপাসা।
২. কম পরিমাণের প্রস্রাব হওয়া।
৩. প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয়ে যাওয়া।
৪. শরীরে অবসাদ ভাব।
৫. মাথা ঘুরানো।
৬. কথাবার্তায় গড়বড় বা বিভ্রান্তি হুয়া।
ডিহাইড্রেশন হলে কখন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হয় বা ডাক্তার দেখাতে হয়।
১. ডায়রিয়া হওয়ার একদিন বা তার থেকে বেশি সময় অতিক্রম হয়ে যাওয়া
২. অশান্তি এবং যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা ঘুম কম হয়ে যাওয়া এবং সক্রিয়তার অভাব দেখা দেওয়া ।
আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন কেন হয় তার কি কি কারণ হতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি জল কম পরিমাণে পান করছেন আপনার হয়তো অসুস্থতা বোধ হচ্ছে বা আপনি খুব ব্যস্ত অনেক সময় দেখা যায় ভালো পানীয় জল না থাকার কারণে একটু পরে পান করব বলেও আমরা অনেক সময় দেরী করে দেই অনেক সময় যাত্রায় থাকি কোন জার্নিতে থাকা অবস্থায় বা কোন বিশেষ কাজে থেকে আমরা জল পান করা ভুলে যাই।
ডিহাইড্রেশনের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে:
১. ডায়রিয়া বা বমি হওয়া: অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করে যথেষ্ট পরিমাণে ডায়রিয়া হচ্ছে এবং অনেক বমি হচ্ছে যার জন্য শরীরের পদার্থের পরিমাণ কম হয় ইলেক্ট্রোলাইট কম হয়ে যায় যার জন্য আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়ে থাকে।
২. জ্বর এর কারণেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে: শরীরে জলের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি হলে ডিহাইড্রেশনের পরিমাণ অনেক সময় বিক্রি হতে দেখা যায়। যদি আপনার ঘনঘন ডায়েরি হচ্ছে এবং বমি হচ্ছে এবং সাথে জ্বরও আছে তখন কিন্তু আপনার দেহাইড্রেশন এর পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে যেতে পারে।
৩. বেশি পরিমাণে শরীর ঘামতে থাকলে: যখন আমাদের শরীর ঘামে তখন শরীরের জলীয় পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে আসে। যদি আপনার অনেক বেশি ঘামার অভ্যাস থাকে তাহলে কিন্তু আপনার জলের পরিমাণ কমবে এবং আপনি সঙ্গে সঙ্গে যদি পানীয় দ্রব্য জুস ইত্যাদি পান না করেন তাহলে কিন্তু আপনি ভীষণভাবে ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে গরমের সময়ে বা আর্দ্র আবহাওয়ায় কিন্তু আমাদের শরীরে অনেক বেশি সুয়েটিং হয় যার জন্য আমাদের শরীরের জলীয় পদার্থের পরিমাণ কম হয়।
৪. অধিক প্রস্রাব: অনেক সময় মানুষের শরীরে ডায়াবেটিস থাকার কারণে প্রস্রাব কন্ট্রোল করা যায় না এবং সেই অবস্থায় যদি ডায়াবেটিস বা সুগারের ঔষধ না খেয়ে সুগার কন্ট্রোল না করে থাকেন তবে যথেষ্ট পরিমাণে প্রস্রাব হয়। এবং আপনার শরীরে জলীয় পদার্থ এর অভাব দেখা দেয় এবং ডিহাইড্রেশনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে।