Brain Stroke

Brain Stroke

স্ট্রোক কি?

Brain Stroke ( মস্তিষ্কের আঘাত)

যে ভাবে আমাদের ধমনীতে ফ্যাট জমে ব্লকেজ হ্য়, হাটের অক্সিজেন আর পুষ্টি সরব্রাহ না হঅয়ার ফলে হার্ট attack হয়, ঠিক সেই ভাবেই ব্রেনে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরব্রাহ না হওয়ার ফলে সেরিব্রাল attack হয় কিন্তু স্ট্রোক মানে হার্ট attack নয়।

সেরিব্রাল Attack কেই স্টোক বলে।

আনেকে স্টোক শুনলে heart attack এ সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন।

মনে রাখবেন হার্ট অ্যাটাক কে স্টোক বলে না।

ব্রেনে যখন attack হয় তখন তাকে স্টোক বলে।

অনেক সময় ব্রেন attack ও বলা হয়।

হার্ট attack আর সেরিব্রাল স্টোকের লক্ষন সম্পুর্ন আলাদা।

তাছাড়া সেরিব্রাল স্টোকের যেমন পক্ষাঘাত হওয়ার আশঙ্কা, হার্ট attack সেটা থাকে না।

এই রোগটা সাধারণত চল্লিশের পরে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

রিঙ্ক ফ্যাক্টর / কি কারনে হয়?

১। উচ্চ রক্ত চাপ ( Hypertension)
২। সেডেন্টারি লাইফ স্টাইল ( Sedentary life style)
৩। ব্লাড সুগার ( Diabetes)
৪। ব্লাড লিপিড
৫। ব্লাড কোলেস্টেরল ( Cholesterol).
৬। বেশি লবণ খাওয়া।
৭। ধূমপান বা মদ খাওয়া।

কি কি লক্ষন দেখা দেয়?

১। অজ্ঞান হয়ে যায়।
২। কথা জড়িয়ে যায়।
৩। হাত পায়ে জোর কমে যায়
৪। হাত পায়ে সাড়া পায় না ( Paralysis).
৫। বিশেষ করে একটু আগে ঠিকঠ্যাক কথা বলছিলেন, হঠাত কথায় অসংলগ্নতা দেখলে সাবধান হওয়া দরকার। স্টোক হলে কারো সঙ্গে সঙ্গেই প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে।
৬। স্টোক যন্ত্রনাহীন তবে কারও কারও অপ্ল মাথার যন্ত্রনা হয়।

সেরিব্রাল ইস্কিমিয়া ও সেরিব্রাল হেমারেজ কি?

সেরিব্রাল ইস্কিমিয়া –

ব্রেনের অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে বিভিন্ন ধমনী। তাতে ফ্যাট জমে ব্লকেজ হতে পারে। তখন রক্ত সরবরাহে বাধা পড়ে। উদাহরন- ধরন একটা ড্রেন। তার ড্রেনেজ ঠিক নেই। পলি জমেছে। জলপ্রবাহে বাধা পড়ছে। এক সময় সেই ড্রেনের নীচের দিকের কিছু কিছু এলাকা জল সরবরাহ হতে পারবে না। ঠিক তেমনি ঘটে সেরিব্রাল ইস্কিমিয়ার ক্ষেত্রে। ধমনীতে ব্লকেজ হলে সেই ধমনী ব্রেনের যে এলাকাকে সরবরাহ করছে সেই এলাকা সরবরাহ কম পাবে। আর যদি ক্লট আটকে দেয় তাহলে একদমই ব্লাড পাবে না।

সেরিব্রাল হেমারেজ-

আর যদি ওই ধমনীর ভেতরের প্রেসার হঠাত খুব বেড়ে যায়, তবে অনেক সময় ধমনীর দুবর্ল প্রাচীর ছিড়ে রক্ত রেরিয়ে ব্রেনের একটা জায়গাকে প্লাবিত করে দিতে পারে। একে বলে সেরিব্রাল হেমারেজ। আর যে রক্ত হেমারেজ হয়ে রক্তের জমাট বাধে তাকে বলে হেমাটোমা।

কি কি করবেন?

সেরিব্রাল স্টোকের ক্ষেত্রে কোনও যন্তনা থাকে না বলে চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হয়ে যায়। প্যারালাইসিস হলে আলাদা। না হলে অন্যান্য অস্বস্তির সময় রোগী বা তার আত্বীয়রা ভাবেন নিজে নিজে ঠিক হয়ে যাবে। অথচ যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যায় রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তত বেশী। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হলে পরে প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা অনেকটাই কমে।তাছাড়া দেরি হলে অনেক সময় প্রানের আশঙ্কা থাকে।

স্টোক হওয়ার আগে কি কি করা দরকার—-

আমাদের দেশে সেরিব্রাল স্টোক হওয়ার জেনেটিক প্রবনতা বেশি। তবে রিস্ক ফ্যাক্টর কমানো ও লাইফ স্টাইল পালটানোর মাধ্যমে এই অসুখকে অনেক টাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। স্টোক হওয়ার পরে তো সাবধানে থাকা দরকার বটেই, আগে থেকে যা অল্প সমস্যা দেখা দিলেই সর্তক হলে অনেক সুবিধা।

১। শারীরিক পরিশ্রম করা খুব দরকার।
২। ওবেসিটি, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, আর তার জন্যেও শারীরিক পরিশ্রম করা দরকার।
৩। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। হাটতে পারলে সব থেকে ভাল।
৪। সুষম খাবার খাওয়া খুব দরকার। বিশেষ করে শাকসবজি, ফলমুল, চল্লিশের পরে বিশেষ করে পারিবারিক ইতিহাস থাকলে রেট মিট ও ফ্যাট ফুড কম খাওয়াই ভালো।
৫। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৬। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৭। ব্লাড লিপিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৮। একেবারেই ধুমপান করা বা তামাকের নেশা চলবে না।
৯। মনকে স্টেস মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
১০। চল্লিশের পরে, নিয়মিত ব্লাড সুগার, প্রেসার, লিপিড ইত্যাদি মাপান। পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ফ্যামিলি ফিজিসিয়ানের পরার্মশ অনুযায়ী আরো আগে শুরু করতে পারেন।

স্টোক হয়ে থাকলে রেগুলার চেক আপ আর নিয়মিত হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়া দরকার।

১২। অব্যশই চিকিৎসক এত পরার্মশ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন।

Dr. Md Asraul Hoque
BHMS ( Cal.) MD ( Hom.) Psychiatry
Chamber: Pratima Apartment
41/49, J K Sanyal Road
Near IDBI Bank, Malda
Mobile:: 9733148960