COVID-19 এর ভ্যাকসিন নিয়েও অনেক প্রশ্ন ?
হ্যাঁ আমারও মনে Covid-19 নিয়ে অনেক প্রশ্ন হয়েছিল!
আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিছু সমাধান পেয়েছি|
আজকে আমি এই সমাধান গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি|
আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস হয়তো আপনার অনেক প্রশ্নের সমাধান পেতে সহায়তা করতে পারে।
আজকের আলোচনায় আমরা COVID-19 এর সম্পর্কে কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে চর্চা করব।
- COVID-19 এর ভ্যাকসিন কেন এত প্রয়োজনীয়?
- COVID-19 ভ্যাকসিন সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি তাই ভ্যাকসিন নেওয়া টা কি সুরক্ষিত?
- ভ্যাকসিন নেওয়ার কত সময় পর থেকে আমাদের শরীরে কোভিদ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে?
- ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কি কি সমস্যা হতে পারে এবং তার কি প্রতিকার?
- ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে কি শরীরের ইমিউনিটি চেক করার কোন ব্যবস্থা আছে এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি কতটুকু বর্ধিত হয়েছে তা কি টেস্ট করা যায়?
COVID-19 এর ভ্যাকসিন কেন এত প্রয়োজনীয়?
আজ সমগ্র বিশ্বের সাথে সাথে আমাদের দেশেও Covid-19 এর মতো ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হচ্ছে।
এমতাবস্থায় আমাদের কি করা উচিত সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন সেটা হলো ভ্যাকসিন দেওয়া।
ভ্যাকসিন নিয়ে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে তা আমি এবং আপনার পক্ষে যাচাই করা কি সম্ভব?
এই মহামারীর সময় আমরা কি গুজব নিয়ে চর্চা করবো?
না কিভাবে Covid-19 থেকে বাচা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করব?
আসুন আমরা সে বিষয়ে একটু আলোচনা করে দেখি।
বিশেষজ্ঞরা সে ব্যাপারে কি বলেন বাকি পরামর্শ দেন সেটাও আমাদের জানা উচিত।
COVID-19 ভ্যাকসিন নেওয়ার কেন এত প্রয়োজনীয় ? সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের কি মতামত?
সহজ কথায় বলতে গেলে COVID-19 ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে যাদের COVID-19 সংক্রমণ হয়েছে তারা কিন্তু গুরুত্ব ভাবে ইনফেক্টেড হয়নি।
আক্রান্ত হওয়ার পরে তারা খুব কম সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং তাদের নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে।
যেহেতু Covishiedl, CoVeccine আপনাকে সম্পূর্ণরূপে এই COVID-19 থেকে প্রতিরোধ করতে না পারলেও আপনাকে খুবই থেকে বাঁচতে যথেষ্ট হবে সহায়তা করতে পারে।
তাই আমরা সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া অত্যন্ত দরকারি। অবহেলা না করে সময়মতো আমরা ভ্যাকসিন টা নিয়ে নিতে হবে।
COVID-19 ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছু দেখেছি তারপরও কি আমরা ভ্যাকসিন নেব সেটা নেওয়া কি সুরক্ষিত?
সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে যদি আমরা আলোচনা করি তাহলে দেখতে পাব সোসিয়াল মিডিয়া আমাদেরকে ভালো মন্দ ও অনেক কিছু দেখার সুযোগ করে দিয়েছে?
এটা আমাদের উপরে নির্ভর করে আমরা ভালোটা রাখব না মন্দটা রাখবো?
সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া তথ্যের মধ্যে মধ্যে জ্ঞানী ব্যক্তিদের পরামর্শ আমরা পেয়েছি কিন্তু আমরা সেদিকে নজর দেইনি।
মানুষ হিসাবে আমাদের সকলের একটি অভ্যাস আছে যে ভালো কথা মনে থাকেনা।
আমাদের চলার পথে অনেক ভালো কাজ করা মানুষ দেখে থাকি কিন্তু সেই সকল মানুষের কাছ থেকে আমরা নিজে কিছু শিখার চেষ্টাও করি না এবং অন্য কাউকে সে ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করতে চাইনা।
COVID-19 এর ব্যাপারে কত শত শত ডাক্তার এবং চিকিৎসক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রোগ্রাম করেছেন আমরা কি সেটা মনে রাখতে পেরেছি নানা আমরা সবাই ভুলে গিয়েছি।
আমাদের শুধু মনে আছে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে কে কি ধরনের উল্টো কথা বলেছে সেগুলো!
আমরা কিন্তু সেই সেই কথাগুলো কে সব সময় মনে করে দেই।
যে কথাগুলো আমাদেরকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করে না।
আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলেন তো আমাদেরকে ভ্যাকসিন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যে বা যাহারা ভুল তথ্য দিয়েছে তাদের যোগ্যতা বা নির্ভরযোগ্যতার বিষয়ে আপনার কাছে কি কোন তথ্য ভিত্তিক দলিল প্রমাণ আছে।
তাই আমার মতে এই সময়ে গুজব শোনা গুজবে কান দেওয়ার সময় নয় এই সময় হচ্ছে ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় কিভাবে সহজে এবং সময়মতো ভ্যাকসিন দেওয়া যায় সেই ব্যাপারে আমাদেরকে সকলকে চিন্তা করতে হবে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার কত সময় পর থেকে আমাদের শরীরে ইমিউনিটি বর্ধিত হবে বা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে?
এই প্রশ্নটি সাধারণত আমাদের সকলের মনে মনে এসেছে।
যার সঠিক উত্তর দেওয়া অনেক কঠিন।
চিকিৎসকদের মতে ভ্যাকসিনের প্রথম প্রশ্ন আর দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আপনার শরীরের ইমিউনিটি ডেভলপ হতে আরম্ভ করবে এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর থেকে ডিউরেশন অফ ইমুনিটি বর্ধিত
হবে।
তবে আমাদের সকলকে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে ভ্যাকসিন আমাদের কতদিনের জন্য ইউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করবে সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিকরা এখনো কোনো নির্ণয় আসতে পারেননি।
দেখা গিয়েছে যে একটি ভ্যাকসিনের প্রতিরোধক্ষমতা ভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়।
একই ভ্যাকসিন একাধিক ব্যক্তির শরীরে একই ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধিত করবে সেটা কিন্তু কখনো সম্ভব হয়না কারো কারও বা কম সময়ে বেশি ইমিউনিটি গড়ে ওঠে আর কারো বা কম পরিমাণ ইমিউনিটি হলেও বেশি সময়ের জন্য শরীরে অবস্থান করে।
আমরা সাধারণত দেখতে পাই যে একই ঔষধ সকল রোগের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করে না।
তাই একই ভ্যাকসিন সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে সমপরিমাণ প্রতিরোধ ক্ষমতার জোগান দিতে পারেনা।
এখন বাজারে যে ভ্যাকসিন এর অভাব দেখা দিয়েছে তাই প্রথম এবং দ্বিতীয় ভ্যাকসিন এর মধ্যকার ব্যবধান কত দিনের হওয়া উচিত? বেশি দিনের ব্যবধান হলে কি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে?
দুটি ভ্যাকসিন এর মধ্যকার কতদিনের interval হবে সে ব্যাপারে গবেষকদের অনেক কথা রয়েছে।
সর্বশেষ গবেষণা অনুসারে দেখা যায় যে Covid-19 এর প্রথম ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দ্বিতীয় ভ্যাকসিন এর মধ্যকার যত বেশি দিনের গ্যাপ হবে তত ভালো ভাবে প্রথম ভ্যাকসিনটি আপনার শরীরের রেস্পন্ড করবে।
প্রথম ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকে আপনার শরীরে কোভিদ এন্টিবডি তৈরি হতে আরম্ভ করবে এবং দ্বিতীয়টি নেওয়া পর্যন্ত আপনার শরীরে যদি একটা নির্দিষ্ট দিনের ব্যবধান বা দূরত্ব থাকে তবে গবেষকদের মতে উৎপাদিত এন্টিবডির স্তর ২০ শতাংশ থেকে প্রায় 300 শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সুতরাং যখন আপনি আপনার দেহকে প্রথম ভ্যাকসিন এর পরে একটু বর্ধিত সময় দেবেন তখন দ্বিতীয় ভ্যাকসিন আপনার দেহে আরো ভালোভাবে এন্টিবডি প্রস্তুত করিতে পারিবে।
আপনি যদি নির্ধারিত দিনে দ্বিতীয় ব্যক্তি মিস করে থাকেন তবুও চিন্তা করার কিছু নেই।
আপনি আবার ভ্যাকসিনটি নিয়ে নিতে পারেন।
কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনার দ্বিতীয় ব্যাক্তিটি যেন 12 মাসের মধ্যে নিয়ে নিতে পারেন।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কি কি সমস্যা হতে পারে এবং তার কি কোন প্রতিকার এর দরকার হয়?
হ্যাঁ, সবার মনে এই একই আতঙ্ক?
সাধারণত আমরা দেখেছি যে একটি টিকা নেওয়ার পরে আমাদের শরীরে একটু প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ছোট আমরা দেখতে পাই যে তাঁদের বাল্য বয়সে নেওয়া টিকাগুলো একটু হালকা জ্বর নিয়ে আসে।
এই ছোট বাচ্চাদের জ্বর আসলে কি আমরা আতঙ্কিত হয়ে যাই?
প্রয়োজনবোধে আমরা একটু জ্বরের ঔষধ দিয়ে দিতে পারি।
একইভাবে Covid-19 এর ভ্যাকসিন এর ক্ষেত্রেও আপনার দেহে একটু জ্বর আসতে পারে জ্বর আসতে পারে।
এই জ্বর আসলে কি আপনি সাধারণত আতঙ্কিত হয়ে যাবেন না না আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই ।
দুদিন তিন দিনের মধ্যে এই জ্বরটা সেরে যাবে আর যদি সেরে না যায় তাহলে একটু প্যারাসিটামল বা জ্বরের একটু সাধারণ ঔষধ নিয়ে নিলে হয়ে যায়।
আমাদের সবার মনে একটি প্রশ্ন জাগে যে আমার Covid-19 প্রতিরোধের কতটুকু ক্ষমতা আছে?
এন্টি বডি টেস্ট করার কোন ব্যবস্থা আছে?
ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে আমার শরীরে অ্যান্টিবডি কিরকম এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে কি এন্টি বডি বর্জিত হয়েছে কতটুকু বর্ধিত হয়েছে সেটা কি কোন টেস্টের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়?
আমার মনে হয় প্রশ্ন আপনাদের মনে বারবার উদয় হচ্ছে যেরকম আমার মনে হয়েছিল।
আমরা খুব সহজভাবে দেখে নিতে পারি যে আমাদের শরীরে কোভিদ প্রতিরোধ করার জন্য কতটুকু এন্টিবডি আছে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে দেখে নিতে পারি আমাদের এন্টিবডির পরিমাণ এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও সেটা দেখে নিতে পারি।
SRL Diagnostic’s Spike Antibody Test.
SRL ডায়গনস্টিক এর স্পাইক এন্টিবডি টেস্ট:-
এটি হলো একটি বিশেষ ধরনের টেস্ট সে টেস্টি একজেক্টলি আপনার শরীরে কতটুকু এন্টি বডি আছে সেটা নির্ণয় করে দিতে পারে।
এই টেস্টের বিষয়ে নিচে দেওয়া হল এবং এই এই টেস্ট আপনি SRL ডায়গনস্টিক এর পাতারকান্দি সেন্টারে করে নিতে পারেন।
যদি এখনই এই বিষয়ে বিশদভাবে জানতে চান তাহলে এই নিচে দেওয়া ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
Contact No: 8822082991
SRL ডায়গনস্টিক এর পাতারকান্দি সেন্টারের বিশেষ সুবিধা হল রোগীর বাড়ি থেকে স্যাম্পল কালেকশনের ব্যবস্থা ও অনলাইনে বুকিং করা যায় এবং অনলাইনে রিপোর্ট পাওয়া যায়।
সত্যিই অসাধারণ
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে,
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন
ভবিষ্যতে আরো বেশি তথ্যভিত্তিক আলোচনা নিয়ে আসব|